বেসিক ফটোগ্রাফি
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ, প্রজন্ম হলো ডিজিটাল প্রজন্ম। এই যুগে তরুন প্রজন্মের কাছে একটি DSLR ক্যামেরা মোবাইল ফোনের মতোই নিত্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। গ্রাম থেকে শহরে ফটোগ্রাফির চর্চা হচ্ছে বেশ জোড়ালোভাবেই এমনকি যার কাছে ডিএসএলআর নেই সেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফটোগ্রাফিতে যুক্ত হচ্ছে। একসময় আমাদের দেশে ফটোগ্রাফি ছিল স্রেফ একটা শখ। এখন সময় বদলেছে শিক্ষাজীবন থেকেই পুরোদস্তুর পেশাদার আলোকচিত্রী হয়ে উঠছেন অনেক তরুণ। বেসরকারি বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফটোগ্রাফি কোর্স তো আছেই; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের অধীনেও আলোকচিত্র নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরও করা যাচ্ছে। তাছাড়া স্যোসাল মিডিয়া ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ বা ফটোগ্রাফি কমিউনিটি বিভিন্ন টাইপের ফটোগ্রাফি কোর্স ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করে। বেসিক ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার আজকের আলোচনা তাদের জন্য যারা ফটোগ্রাফিতে একদম নতুন। প্রথমেই বলা দরকার - নতুনদের জন্য ফটোগ্রাফি শিক্ষায় ফটোগ্রাফি বেসিক সম্পর্কে ধারণা নিতে ডিএসএলআর ক্যামেরা আবশ্যিক নয়। তাই বেসিক ফটোগ্রাফি শুধু যার ডিএসএলআর ক্যামেরা আছে তাদের জন্য প্রযোজ্য নয় বরং যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন এমন সবার জন্যই প্রযোজ্য। সে ডিএসএলআর ক্যামেরার মাধ্যমেই ফটোগ্রাফি করুক বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই করুক। বেসিক জানা থাকলে আপনার অবশ্যই ফটোগ্রাফিক স্কিল ডেভেলপ হবে, হতে পারে আপনিও ভবিষ্যতে ফটোগ্রাফিতে সুনাম কুড়াবেন। তাই সর্বপ্রথমে বেসিক ফটোগ্রাফি শিখুন, অনলাইনের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি টিপস ও ফটোগ্রাফি টিউটোরিয়াল ফলো করুন আর সেইসাথে প্র্যাকটিস করুন।
বেসিক ফটোগ্রাফি (Basic Photography) | Photo by Andre Furtado, pexels.com |
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করার পরে এই বিষয়ে লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি যে কেউ ফটোগ্রাফি শিখতে পারে এবং সীমিত অভিজ্ঞতার সাথেও মৌলিক বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে। অনলাইনে অনেক লেখা আছে ফটোগ্রাফি বিষয়ে। তবে ফটোগ্রাফি বিষয়টি পদার্থবিজ্ঞান, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সৃজনশীলতার সমন্বয়ে শিক্ষাগ্রহণ করতে হয় বিধায় একক কোন লেখায় পূর্ণাঙ্গভাবে না পাওয়া স্বাভাবিক। আমি এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি এবং পাঠক উপকৃত হলেই আমার চেষ্টা সফল হবে। তারপরেও আমার এই লেখাটিও স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যাবেনা কারন ফটোগ্রাফি শিক্ষা বেসিক জ্ঞান, অ্যাডভান্স লেভেলের জ্ঞান, অভীজ্ঞতা ও সৃজনশীল প্রতিভার সমন্বয়ে গঠিত, তাই একক কোন ফটোগ্রাফি বই বা ফটোগ্রাফি গাইড পড়েই ফটোগ্রাফি শিখে ফেলা যাবেনা। তবে আমি চেষ্টা করেছি বেসিক ফটোগ্রাফির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো উল্লেখ করতে।
ফটোগ্রাফির প্রাথমিক ধারনা
একাডেমিক শিক্ষার মতো প্রতিটি সৃজনশীল শিক্ষাই কঠিন। ফটোগ্রাফি একটি উচ্চ লেভেলের সৃজনশীল কাজ। তাই খুব সহজে এবং রাতারাতি আপনি একজন ভালো ফটোগ্রাফার হতে পারবেন এটা বলবোনা তবে বেসিক ও অ্যাডভান্স লেভেলের জ্ঞান অর্জন করে নিয়মিত ফটোগ্রাফির চর্চা করলে এক সময় ভালো ফটোগ্রাফার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সৃজনশীলতা মিলেমিশেই আপনাকে একজন উচুমানের ফটোগ্রাফার বানাবে। ফিল্ম ক্যামেরার যুগে ফটোগ্রাফি শিক্ষা অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিলো, কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল ফটোগ্রাফি অনেকাংশে সহজ। ফটোগ্রাফি করতে এখন DSLR ক্যামেরা আবশ্যিক নয়, হাতে একটা মোবাইল ফোন থাকলেই ফটোগ্রাফি করা যায়। বর্তমানে স্মার্টফোন ফটোগ্রাফি বা মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফি অনেক জনপ্রিয়। যাইহোক মূলত আপনাকে ফটোগ্রাফি শিখতে হবে এবং অবশ্যই বেসিক জানতে হবে। আপনি ফটোগ্রাফি শিখুন, আমাদের লেখার মাধ্যমে আপনি আপনি উপকৃত হলে এই লেখা স্বার্থক হবে।
বেসিক ফটোগ্রাফি লেখাতে আমি ফটোগ্রাফির মূল বেসিক নিয়েই আলোচনা করবো, বুঝার সুবিধার্থে জটিল কোন বিষয় আলোচনায় আনবো না। বেসিক জেনেই আপনি ফটোগ্রাফির চর্চা শুরু করতে পারবেন। তবে ভালো ফটোগ্রাফার হতে গেলে আপনাকে অবশ্যই বেসিক ও অ্যাডভান্স লেভেলের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি ইকুইপমেন্ট, ফটোগ্রাফি ক্যামেরা সেটিংস, নানারকম ফটোগ্রাফি কৌশল (ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফি, পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি, ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি ইত্যাদি), ফটোগ্রাফি এডিটিং, ফটোশপ ও লাইটরুম, ফটোগ্রাফি কম্পোজিশন, ফটোগ্রাফি লাইটিং ইত্যাদি সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। পরবর্তিতে উপরোক্ত বিষয়সহ অ্যাডভান্স ফটোগ্রাফি ও ডিজিটাল ফটোগ্রাফি বিষয়ের খুটিনাটি ও বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরির ফটোগ্রাফি টেকনিক নিয়েও ধাপে ধাপে আলোচনা করবো।
বেসিক ফটোগ্রাফির মূল ধারণা
বেসিক ফটোগ্রাফির মূল আলোচিত বিষয় হলো এক্সপোজার। মূলত এক্সপোজার হলো ফটোগ্রাফির মূল ভিত্তি। শুধু ফটোগ্রাফি নয় ভিডিওগ্রাফিতেও এই এক্সপোজারই মূল। এক্সপোজার কন্ট্রোল করার মাধ্যমেই একটা ছবি ও ভিডিও তৈরি করা হয়। এক্সপোজার কন্ট্রোল করতে প্যারামিটারগুলো যেমনঃ Shutter Speed (শাটার স্পিড), Aperture (অ্যাপারচার) এবং ISO (আইএসও) এবং ফোকাস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।
এক্সপোজার (Exposure)
ফটোগ্রাফি আলো ছাড়া অর্থহীন। ফটোগ্রাফিতে আলোই সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আর ফটোগ্রাফিতে ক্যামেরার Sensor (সেন্সরের) উপর আলো পড়ার বিষয়টিই হলো এক্সপোজার। বেসিক ফটোগ্রাফিতে এক্সপোজারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটি ফটোগ্রাফির এক্সপোজার উজ্জ্বল আলো এবং অন্ধকার আলোর মধ্যে বৈসাদৃশ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এই আলোটাকে কন্ট্রোল করার পদ্ধতিই হলো এক্সপোজার কন্ট্রোল করা। সেন্সরে আলোর পরিমাণ বেশী হলে তাকে বলা হয় ওভার এক্সপোজড আর কম হলে বলা হয় আনডার এক্সপোজড। ছবি ওভার এক্সপোজড হলে বেশি সাদা হয়ে যায় আবার আনডার এক্সপোজ হলে অন্ধকার হয়ে যায়। আমরা এই এক্সপোজার কন্ট্রোল করার মাধ্যমেই একটি সুন্দর এবং পারফেক্ট ছবি উপহার দিতে পারি। এক্সপোজার কন্ট্রোলের জন্য তিনটি প্যারামিটার ব্যবহৃত হয় এই তিনটি প্যারামিটারকে একত্রে Exposure Trianle (এক্সপোজার ট্রায়াঙ্গেল) বলে। আমরা এক্সপোজার ট্রায়াঙ্গেলের সুষ্ঠু কম্বিনেশনের মাধ্যমেই একটি সুন্দর এবং পারফেক্ট এক্সপোজারের ছবি তৈরি করতে পারি। এক্সপোজার ট্রায়াঙ্গেলের প্যারামিটারগুলো হলো Shutter Speed (শাটার স্পিড), Aperture (অ্যাপারচার) এবং ISO (আইএসও)।
এক্সপোজার ট্রায়াঙ্গেল (Exposure Triangle)
শাটার স্পিড (Shutter Speed)
শাটার স্পিড হল ফটোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে একটি। নাটকীয় প্রভাবগুলি ক্যাপচার করতে, যেমন ফ্রিজিং অ্যাকশন বা ঝাপসা গতি, আপনি আপনার ক্যামেরার শাটারের গতি সামঞ্জস্য করতে পারেন। এক্সপোজার টাইম বা শাটার খোলা থাকা সময়ের দৈর্ঘ্য সামঞ্জস্য করে ক্যামেরার সেন্সরে প্রবেশ করা আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ফটোগ্রাফিতে শাটার স্পিড একটি ফ্যাক্টর যা মূলত ক্যামেরা সেন্সরের কাছাকাছি একটি পর্দা যা ক্যামেরা চালু না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকে। যখনই একটি ছবি তোলা হয় শাটারটি খোলা হয় যাতে লেন্সের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করা সমস্ত আলো ক্যামেরার ইমেজ সেন্সরে পড়ে। যখন লাইট সেন্সর তার প্রয়োজনীয় সমস্ত আলো সংগ্রহ করে শাটারটি অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যায় এবং আর কোনো আলো প্রবেশ করতে বাধা দেয়। শাটারের গতি বলতে শাটার খোলা থাকে এবং ক্যামেরার সেন্সরে আলো প্রবেশ করতে সক্ষম করে এমন সময়কে বোঝায়। অন্য কথায় এটি আপনার ক্যামেরা দ্বারা বন্দী প্রতিটি শটের মধ্যবর্তী সময়। এটি আপনার ফটোগুলির ভিজ্যুয়াল শৈলীতে কিছু বড় প্রভাব ফেলে।
দীর্ঘ ও ধীর শাটার গতি ব্যবহার করার সময় ক্যামেরার সেন্সর উন্মুক্ত থাকে। মোশন ব্লারিং হলো প্রথম লক্ষণীয় প্রভাব। ধীর শাটার গতির কারণে চলমান বিষয়গুলি তারা যে দিকে যাচ্ছে সেদিকে ঝাপসা হয়ে যাবে। গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের বিজ্ঞাপনে এই কৌশল ব্যবহার করার অনেক উদাহরণ রয়েছে। অত্যন্ত দ্রুত শাটার স্পীড ব্যবহার করলে আপনি দ্রুত চলমান বিষয়গুলি যেমন উড়ন্ত পাখি বা পাশ দিয়ে যাওয়া গাড়িগুলিকে স্থির করতে পারবেন যদিও আমরা খালি চোখে স্বতন্ত্র জলের ফোঁটাও সনাক্ত করতে পারি না, আমরা যখন উচ্চ শাটার গতিতে তোলা জলের ফোটার ফটোগ্রাফ দেখি তখন সেগুলি তীক্ষ্ণ ফোকাসে বাতাসে ঝুলে আছে। একটি ধীর শাটার গতি এবং একটি Tripod ট্রাইপড ব্যবহার করা হলে মিল্কিওয়ে বা কম আলোতে অন্যান্য বস্তুর রাতের শট ক্যাপচার করার আরেকটি উপায়। ফটোগ্রাফাররা যারা ল্যান্ডস্কেপগুলিতে বিশেষজ্ঞ তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নদী বা জলপ্রপাতের জল ঝাপসা করার জন্য একটি ধীর ফ্রেম রেট ব্যবহার করতে পারে এবং অন্য সবকিছুকে ফোকাসে রাখে। ক্যামেরার বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে এক সেকেন্ডের আট হাজার ভাগের এক ভাগ (1/8000) থেকে শুরু করে 30 সেকেন্ড পর্যন্তও হতে পারে আবার কোন কোন ক্যামেরায় বাল্বমুড নামে একটি অপশন দেখা যায় যা আনলিমিটেড সাটারস্পিড হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অ্যাপারচার (Aperture)
ফটোগ্রাফির তিনটি প্যারামিটারের মধ্যে অ্যাপারচার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাপারচার হল লেন্সের ছিদ্র যা আলোকে ক্যামেরায় প্রবেশ করতে দেয়। অ্যাপারচার নির্ধারণ করে লেন্সে কতটুকু পরিমাণে আলো ঢুকবে। ক্যামেরার সেন্সরে কতটা আলো প্রবেশ করবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে ক্যামেরার অ্যাপারচার খোলা বা বন্ধ করতে হয়। খুব সহজ উদাহরন হিসেবে একটি বদ্ধ ঘরের দরজা বা জানালাকে অনুসরন করা যেতে পারে। একটি বদ্ধ ঘরের দরজা কম খোলা থাকলে কম আলো ঢুকবে আবার বেশি খোলা থাকলে বেশি পরিমাণ আলোতে ঘর আলোকিত হয়ে যাবে। আর লেন্সের দরজা হলো অ্যাপারচার। f-stop দিয়ে এর মান পরিমাপ করা হয়। অধিকাংশ লেন্সে এই f-stop এর মান সাধারণত f1.4 থেকে f22 এর মধ্যে হয়ে থাকে। অ্যাপারচার পরিবর্তন করার মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায় কতটা বিষয় ফোকাসে আছে যাকে আমরা Depth of Field (ডেপথ অব ফিল্ড) বলে থাকি। অ্যাপারচার আপনার ফটোতে গভীর অনুভূতি যোগ করতে পারে, যখন এর ফোকাল লেন্থের সাথে সামঞ্জস্য করা হয় তখন অ্যাপারচারটি শটের পটভূমিকে ঝাপসা করে দেয়, এমন ধারণা দেয় যে বিষয়টি তীক্ষ্ণ ফোকাসে রয়েছে তার পটভূমি ফোকাসের বাইরে থাকে ঠিক আমাদের চোখের দৃষ্টির মতো করে। তাছাড়া এটি আপনাকে দূরবর্তী দিগন্তের কাছাকাছি একটি পরিষ্কার শট দেবে।
আইএসও (ISO)
এটি একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির পুরো নাম ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন বা আইএসও। 1974 সালে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুটি প্রাথমিক মান ASA এবং DIN, ISO নামে পরিচিত মানগুলির একটি সেটে একত্রিত হয়েছিল (পরে ফিল্ম এবং ক্যামেরা প্রযুক্তি উভয়ের জন্যই সংশোধিত হয়েছিল) এবং তখন থেকে এই একক হিসাবে পরিচিত করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত ISO নামে স্বীকৃত। মূলত ফিল্মের সংবেদনশীলতা পরিমাপ করার জন্য বিকশিত ISO বর্তমান ডিজিটাল ক্যামেরা নির্মাতারা ফিল্মের সমান আলোর মাত্রা বজায় রাখার জন্য ISO কেই স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে অনুসরন করে। ISO নম্বর যত বেশি হবে আপনার ক্যামেরা তত বেশি আলো ক্যাপচার করতে পারবে। একটি উচ্চতর ISO সেটিং ক্যামেরাটিকে আরও আলো-সংবেদনশীল করে তোলে। ক্যামেরা বিশেষে ISO এর মান সাধারণত 100 থেকে 12800 ধরা হয়।
ফোকাস (Focus)
ফটোগ্রাফি শেখার সময় ফোকাস পয়েন্ট খুঁজে পাওয়া একটি সাধারণ অসুবিধা। আপনি যে বিষয়ের শুটিং করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার ক্যামেরার জন্য ম্যানুয়াল ফোকাস বনাম অটোফোকাস ভাল কিনা তা আপনার উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, ম্যানুয়াল ফোকাস সাধারণত ম্যাক্রো এবং নাইট ফটোগ্রাফিতে ব্যবহৃত হয়। যাইহোক, অটোফোকাস দ্রুত এবং খেলাধুলা এবং বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফি সহ অন্যান্য ধরণের ফটোগ্রাফিতে জিনিসগুলিকে সহজ করে তুলবে৷ আবার ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফিতে আপনি দৃশ্যের সবক্ষেত্রে সঠিক শার্পনেস অর্জন করতে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে ফোকাস করতে হয়। ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফির জন্য হাইপারফোকাল দূরত্ব সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ধারণাগুলির মধ্যে একটি এবং এটির ক্রিয়াকলাপ বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, পরবর্তিতে অ্যাডভান্স ফটোগ্রাফি টপিকে হাইপারফোকাল দূরত্ব নিয়ে আলোচনা করবো।
Comments on “বেসিক ফটোগ্রাফিঃ নতুনদের জন্য সম্পূর্ণ গাইড”